বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে সরাতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন স্পিকারের

নগদ কাণ্ডে বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে সরাতে এবার তৎপরতা শুরু লোকসভায়। মঙ্গলবার ১৪৬ জন সাংসদের সই-সহ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণ করে স্পিকার ওম বিড়লা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেন।বিচারপতি যশবন্ত বর্মা অপসারণের প্রস্তাব গ্রহণ করার পর স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “বিচারপতি যশবন্ত বর্মার অপসারন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিৎ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদ একজোট হয়েছে। মানুষ বিচার বিভাগের উপর আস্থা রাখে ফলে এই অপসারন প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। ৩ সদস্যের কমিটি যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট পেশ করবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে না।” স্পিকার ওম বিড়লা আরও জানান, “আমি রবি শঙ্কর প্রসাদ এবং বিরোধী দলনেতা-সহ মোট ১৪৬ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত প্রস্তাব পেয়েছি। যেখানে শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধী সাংসদরাও রয়েছেন। যেখানে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অপসারণের জন্য সংবিধানের ২১৭ এবং ২১৮ অনুচ্ছেদ এবং বিচারকদের বিরুদ্ধে তদন্ত আইন ১৯৬৮ এর ধারা ৩ এর অধীনে পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ হওয়ার অর্থ হল অভিযুক্ত ওই বিচারপতির অপসারণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। সংবিধানের ১২৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রস্তাবের পক্ষে সাংসদদের সই করে স্পিকারের কাছে জমা দিতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে এই প্রস্তাব গৃহীত হতে হবে। তবে অভিযুক্ত যদি দোষী না হন সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, এবং প্রস্তাব বাতিল হবে। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন সেক্ষেত্রে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর বিচারপতিকে অপসারণের জন্য তা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।