ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা রাহুলের, পালটা চ্যালেঞ্জ কমিশনেরও

বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোটে কারচুপি করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার ভোট চুরির অভিযোগ তুলে এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম তোলা হয়েছে। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ২০২৪ লোকসভা থেকে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির আঁতাঁতের মাধ্যমে বিরাট ভোট জালিয়াতি চলছে।রাহুল দাবি করলেন, বিজেপির আমলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মতো বাস্তবও ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। ওপিনিয়ন পোল, এক্সিট পোল-সব মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকার জন্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ২৫টি আসনে ভোট চুরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ২৫টি কেন্দ্রেই হারজিতের ব্যবধান ৩৩ হাজারের কম। লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই ২০২৩ সাল থেকেই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় ছিল কংগ্রেসের অন্দরে। কিন্তু এতদিন চেষ্টা করেও প্রমাণ মিলছিল না। রাহুলের বক্তব্য, “আমরা জানি কী কারচুপি হচ্ছে, কিন্তু প্রমাণ পাচ্ছি না। কারণ, চুরির প্রক্রিয়া খুঁজতে টিম তৈরি করি। বিশাল প্রিন্ট আউট নিয়ে এক বিধানসভা নির্বাচনের লিস্ট নিয়ে ভুয়ো ভোটার খোঁজার চেষ্টা করি। সাত মাস সময় লাগে। সফট কপি পেলে সেটা এক সেকেন্ডে হয়ে যেত। তখন বুঝলাম কেন ওরা সফট কপি দেয় না।” রাহুল বলছেন, “কমিশন কিছুতেই ডিজিটাল ভোটার রোল দিতে চায় না। সিসিটিভি ফুটেজের অ্যাকসেস দিতে চায় না।” যদিও এদিন কর্নাটকের একটি আসনের ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন। কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভার ভোটার লিস্ট তুলে ধরে কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, স্রেফ এই একটি কেন্দ্রেই ১ লক্ষের বেশি ভোট চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ডুপ্লিকেট ভোটার ১১,৯৬৫, ভুয়ো ভোটার ৪০,০০৯, এক ঠিকানায় একাধিক ভোটার ১০,৪৫২, ভুল ছবি রয়েছে ৪,১৩২, ফর্ম ৬ এর অপব্যবহার করেছেন ৩৩,৬৯২ ভোটার।প্রত্যাশিতভাবেই রাহুলের এই ভোটচুরির অভিযোগ একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে বলছেন, রাহুল গান্ধী যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলি গুরুতর। আজকের মধ্যে কংগ্রেস যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, “হয় এই অভিযোগপত্র জমা করুন না হয় দেশের জনতাকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন।”