'জোর করে বলানো হয়েছিল মোদী, যোগীর নাম', বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের

মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ আরও অনেকের নাম নিতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন একটা সময় এই মামলায় নাম জড়ানো প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের।তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শনিবার প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, “সেই সময় রাম মাধব-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের নাম এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। ফুসফুসের সমস্যার জেরে আমাকে তখন হাসপাতালে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না। যেহেতু আমি গুজরাটের বাসিন্দা ছিলাম, তাই এই মামলায় নরেন্দ্র মোদির নাম জড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমাকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়। তবে আমি কারও নাম নেইনি।” শুধু তাই নয় প্রজ্ঞা আরও দাবি করেছেন, এই মামলায় শুধু মোদি নন, নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত-সহ আরএসএসের ৪ শীর্ষ নেতার। এমনকী আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের নামও এই তালিকায় ছিল।উল্লেখ্য, এর আগে প্রাক্তন অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS) সদস্য মেহবুব মুজওয়ারও একই রকম দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তদন্তকারী দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তার করতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। গত শুক্রবার মুজওয়ার আরও দাবি করেন, এর পিছনে উদ্দেশ্য ছিল তদন্তকে ভুল পথে চালিত করা এবং মামলাটিকেকে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদের মামলা হিসেবে দেখানো।২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১০০রও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরসাইকেলে দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ক্রমে গ্রেফতার হন প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত। পরে অবশ্য দু’জনেই জামিন পান। ২০১১ সালে মামলার তদন্তভার যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে। দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। এ হেন বিতর্কিত প্রজ্ঞাকে ২০১৯ সালে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তিনি জয়ীও হয়েছিলেন। এ বার মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি।