নরেন্দ্রপুরের বনহুগলিতে খুনকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা ৬, এলাকা দখলই খুনের কারণ বলে দাবি পুলিশের

Aug 8, 2025 - 23:48
 15
নরেন্দ্রপুরের বনহুগলিতে খুনকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা ৬, এলাকা দখলই খুনের কারণ বলে দাবি পুলিশের

প্রদীপকুমার সিংহ, নরেন্দ্রপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বনহুগলিতে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। শুক্রবার দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে শ্যামল বিশ্বাস, বিধান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাপ্পা মিস্ত্রিকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক এই তিনজন বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় ফেরে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপরই অভিযান চালিয়ে ধরা হয় তাদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই খুন। বাপ্পা মিস্ত্রি আগের ঘটনায় মারধর খাওয়ায় বদলা নিতে পরিকল্পিতভাবে খুন হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। গত ৫ জুলাই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হয় বিষ্ণুপুর থানার বাসিন্দা সুদীপ নাড়ুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের এসওজি। প্রথমে ধরা পড়ে নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকার সুশান্ত দাস ওরফে লাদেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আশাদুল মণ্ডল ওরফে কালোবাবুর নাম। জানা যায়, সুদীপের সঙ্গে তাদের পুরনো শত্রুতা ছিল। ধৃতরা সকলেই দাগি আসামি—খুন, ছিনতাই, হামলাসহ একাধিক মামলায় জড়িত।

সুশান্ত ও আশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে আসে রাজা বণিক নামে এক গাড়িচালকের হদিশ মেলে। নেতাজিনগরের বাসিন্দা রাজা রানাঘাট থেকে ধরা পড়ে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, খুনের আগে সে নিজের গাড়িতে সুদীপকে নিয়ে আসে এবং পরে সেই গাড়িতেই দেহ ফেলে দেওয়া হয়। নরেন্দ্রপুর খুনকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।