নৈশ-পার্টিতে যাবেন না, ধর্ষণের শিকার হতে পারেন, ট্রাফিক পুলিশের পোস্টারে তুঙ্গে বিতর্ক গুজরাটে

Aug 2, 2025 - 22:11
 14
নৈশ-পার্টিতে যাবেন না, ধর্ষণের শিকার হতে পারেন, ট্রাফিক পুলিশের পোস্টারে তুঙ্গে বিতর্ক গুজরাটে

আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে কার্যত শিকেয় তুলে, ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেতে মহিলাদের ঘরবন্দি থাকার প্রস্তাব দিল গুজরাট প্রশাসন। সম্প্রতি গুজরাট ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে রাস্তায় রাস্তায় এমনই সচেতনতামূলক পোস্টার টাঙানো হয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসতেই সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। আহমেদাবাদ ট্রাফিক পুলিশের তরফে শহরের একাধিক রাস্তায় এই পোস্টার টাঙানো হয়েছে। যেখানে ধর্ষণ এড়াতে মহিলাদের ঘরবন্দি থাকার পরামর্শের পাশাপাশি বলা হয়েছে, বেশি রাত পর্যন্ত কোনও পার্টিতে অংশ নেবেন না। সেক্ষেত্রে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের শিকার হতে পারেন। কোনও বন্ধুর সঙ্গে অন্ধকার বা নির্জন জায়গায় যাবেন না। বলা যায় না, এমন হলে আপনি ধর্ষণ বা গণধর্ষণের মতো ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। আহমেদাবাদের সোলা এবং চাঁদলোদিয়া অঞ্চলে রাস্তার ধারে দেখা গিয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের তরফে প্রকাশিত এই পোস্টার।বিষয়টি সামনে আসতেই গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে কংগ্রেস। এই পোস্টারের নিন্দা করে গুজরাট কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র বাঘেলের নেতৃত্বে তাঁর স্বরাষ্ট্র দপ্তর যে নারী সুরক্ষার বিষয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ এই পোস্টারই তা প্রমাণ করছে। রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার টাঙিয়ে সরকারই প্রমাণ করে দিচ্ছে রাজ্যের মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই।’ আম আদমি পার্টির তরফে বলা হয়েছে, ‘গুজরাট সরকার নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে, অথচ বাস্তব হল, গত ৩ বছরে এখানে সাড়ে ৬ হাজার ধর্ষণ ও ৩৬টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৫ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার। এরপর এই পোস্টার আবারও প্রমাণ করল রাজ্যে নারী নিরাপত্তার করুণ অবস্থাটা।’ এদিকে বিতর্ক চরম আকার নিতেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন গুজরাটের ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নীতা দেশাই। তিনি বলেন, ”আমাদের দায়িত্ব পথ নিরাপত্তা দেওয়া। মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাজের তালিকায় আসে না। এবং যে বিষয়টি নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে তার সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের কোনও যোগ নেই।” ওই আধিকারিক জানান, সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারে সামিল হয়েছিল তারা। স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ওই সংস্থার সঙ্গে মিলে এই পোস্টার দেওয়া হয়। তবে যে পোস্টার টাঙানো হয়েছে তা আমাদের না দেখিয়েই ছাপানো হয়। ওখানে ট্রাফিক পুলিশের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি।