পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লোজ ৩ পুলিশ কর্মীকে

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার রাতে দীপঙ্কর সাহা ও তাঁর চার বন্ধু মাদক নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসে। থানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টা ২৬ মিনিটে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার সেরেস্তায় তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপর দীপঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, থানায় ডেকে মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের।যদিও পুলিশের প্রশ্ন, রবিবার যদি তাঁকে মারধর করা হয়, তবে শুক্রবার কীভাবে তাঁর মৃত্যু হতে পারে? তাঁর দেহে কিছু ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।সেই ক্ষতগুলি কত পুরনো, তা চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখেন।
যদিও এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। এমনকি ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার।শুধু তাই নয়, যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার তিন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার। ক্লোজ হওয়া তিনজনই গল্ফগ্রিন থানায় কর্মরত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এমনকি ডিসির নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলেও লালবাজার সূত্রে খবর।ইতিমধ্যে থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। বিষয়টি পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।তবে তদন্তে যদি মারধরের প্রমাণ মেলে, সেইমতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হবে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে।যদিও পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই বলেই জানিয়েছে দীপঙ্কর সাহা’র পরিবার।সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দীপঙ্কর সাহা’র পরিবার।