মথুরাপুরে জৈব পদ্ধতিতে মডেল পুষ্টি বাগান

বিশ্ব সমাচার, মথুরাপুর: কৃষিনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রমশই জনপ্রিয় হয় উঠছে জৈব চাষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ব্লকে জৈব কৃষির প্রসার ও জৈব পদ্ধতিতে ঘরোয়া পুষ্টি বাগান তৈরির পথপ্রদর্শক হয়ে এগিয়ে এসেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।বিগত রবি মরশুমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ তৈরি করার লক্ষ্যে নিমপীঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহযোগিতায় মহিলা কিষাণদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত পুষ্টি সুনিশ্চত করার উদ্দেশ্যে জৈব পদ্ধতিতে কীভাবে ঘরোয়া পুষ্টি বাগান তৈরি করা যায়, তার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন ডক্টর মানসী চক্রবর্তী।প্রশিক্ষণ পরবর্তীকালে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উমা হালদার ও বিশাখা হালদারের যৌথ উদ্যোগে তাজপুর গ্রামে প্রায় চার কাঠা জমিতে তৈরি করেন সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে আধুনিক বিধিসম্মত পুষ্টি বাগান এবং প্রায় ৩৪ রকম শাকসবজি লাগিয়ে বাস্তবিক অর্থে তৈরি করেন মডেল পুষ্টি বাগান।
যেটি এলাকায় ডেমনস্ট্রেশন সেন্টার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বর্তমানে এই বাগান থেকে উমা ও বিশাখা তাঁদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও এলাকার বাজারে বাড়তি সবজি বিক্রি করছেন। জৈব পদ্ধতিতে চাষের দরুন এলাকায় এই সবজির চাহিদাও দারুন।
উমা ও বিশাখার এই সাফল্যে পরিবারের সকলে খুশি তো বটেই, এলাকাতেও বাড়ছে জৈব চাষের প্রতি আগ্রহ। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগে উপকৃত উমা ও বিশাখা আজ স্বনির্ভর তো বটেই, পাশাপাশি এলাকার জৈব কৃষির পথপ্রদর্শক।