দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেই পতন তৃণমূলের, নামখানায় এসে বললেন বিরোধী দলনেতা

অমিত মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, নামখানা: বুধবার নামখানার সাতমাইল বাজার এলাকায় বিজেপির জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতি করেছে তৎকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন ও তৃণমূল নেতারা। মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী আগাগোড়া কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যাঁদের চাকরি চলে যাবে, তাঁদের আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। আর আমি বলছি, আমার বাড়িতে চাকরি হারানোদের পাঠালে আমিও বাংলার দু’কোটি বেকার যুবকদের আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দেব। এই সরকারের আমলে রাজ্যে পাঁচ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বেড়েছে। লকডাউনে তা পরিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এই জেলার গোসাবার বিভিন্ন দিক থেকে এ রাজ্যে ঢুকছে। এদেরকে ভোটার বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পক্ষে ভোটব্যাংক সুনিশ্চিত করতে চাইছেন। বড় বিপদের মুখে এই রাজ্যের অনেক জেলা। ২০২০ সালে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তরা মোদির পাঠানো অনুদান পাননি। তৃণমূল নেতারা সব টাকা তুলে নিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগসহ একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে আরটিআই করার পরামর্শ দেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন এদিন। তিনি এও বলেন, প্রতি মাসে এই জেলায় দু’বার করে আসবেন। এই জেলা থেকে তৃণমূলের পতন শুরু হবে।সভাশেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে। আদিবাসীদের সঙ্গে নাচার সময় মমতা ব্যানার্জি হাতে গ্লাভস পরেন। আর মোদী মূলনিবাসী এক মহিলাকে নির্বাচন করেছেন। যিনি ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতি। মহারাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি হওয়ারই ছিল। কারণ শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার করেছে।এদিনের জনসভায় বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য প্রমুখ।