‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভে জ্বলছে দেশ, বাতিল ২২টি ট্রেন

সংবাদ সংস্থা : কেন্দ্রের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ অব্যাহত৷ বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা ৷ জানা গিয়েছে, রেল ও সড়ক পথ অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। ট্রেন ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে ২২টি ট্রেন বাতিল করে রেল। আরও ছ’টি ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে স্লোগানও দেন তাঁরা।বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস চালাতে হয় পুলিশকে।অভিযোগ, পালটা পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে প্রতিবাদীরা।বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, অবিলম্বে এই প্রকল্প বাতিল করতে হবে কেন্দ্রকে৷ তা না হলে প্রতিবাদ থামবে না৷ অন্যদিকে, পটনা থেকে গয়া যাতায়াতের পথে গুরুত্বপূর্ণ কাকো মোড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷
রাস্তায় টায়ার জ্বেলে শুরু হয় অবরোধ৷ বিক্ষোভকারীদের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা যায়৷ তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই পদক্ষেপ তরুণদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেবে৷এছাড়াও এদিন অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার বক্সার, নওয়াদা, ছপরা, বেগুসরাই, আরা, মুঙ্গের, জেহানাবাদের মতো এলাকায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’।
সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন। বিক্ষোভকারীদের মতে, চার বছর সেনায় কাজ করে ফের অন্য ধরণের চাকরির জন্য চেষ্টা করতে হবে।
অর্থাৎ চার বছর নষ্ট। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, চার বছর পর বসিয়ে দেওয়া ৭৫ শতাংশ সেনার সরকারের অন্যান্য কাজে বা বেসরকারি অফিসে চাকরি পেতে অসুবিধা হবে না। কারণ, সেনায় কাজ করার সুবাদে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।