ট্রলার ডুবে মৃত্যু হল ২ ভাইয়ের, শোকের ছায়া সাগরে

বিশ্ব সমাচার, সাগর : ট্রলার ডুবে মৃত্যু হল ২ ভাইয়ের। মৃত ২ মৎস্যজীবী হলেন খুরশেদ খাঁ ও সফিউল খাঁ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর থানার বঙ্কিমনগর এলাকায়। খাঁ পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই ট্রলারে ৩ ভাই একসঙ্গে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। বৃস্পতিবার পরিবারের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে তাঁদের শেষ কথা হয়। তবে এরপর থেকে তাঁদের আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে খুরশেদ ও সফিউলের মামাতো দাদা বলেন, শুক্রবার সকালে চড়াতে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি উল্টে যায়। ওই সময় ৩ ভাই একসঙ্গে হাত ধরে নদীতে ভাসতে থাকে। তবে নদীর ঢেউয়ের দাপটে ৩ ভাইয়ের হাত ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে একটি ট্রলার এসে ৩ ভাইকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে খুরশেদ ও সফিউল শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। কিছুক্ষণ পরই ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তবে আর এক ভাই মুরশেদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৪ই জুন থেকে উঠে যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। সেই কারণে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার। ওই ট্রলারে মোট ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।
যাওয়ার সময় শুক্রবার সকালে খেজুরির হিজলি মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি উলটে যায়। সমুদ্রে পড়ে যান ১২ জন মৎস্যজীবী। সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। তবে ৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩ জন অসুস্থ রয়েছেন। যদিও বাকি ৭ জন মৎস্যজীবীর এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের খোঁজে দফায় দফায় তল্লাশি চলছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।