জমি না ছাড়ায় মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ কাকদ্বীপে

বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ: বাড়ির সামনের কিছু জমি ছাড়াকে কেন্দ্র করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা শাসকদলের বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ থানার নারায়ণপুরে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নারায়ণপুরের বাসিন্দা বাবলু সরকারের সঙ্গে নামখানার বাসিন্দা সমীর দাসের বাস্তু সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল।
এই বিষয়ে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বহুবার আলোচনা করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে বিষয়টি কাকদ্বীপ পুলিশ প্রশাসনের কাছে যায়। বাবলু সরকার জানান, সোমবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার কথা ছিল। তাঁর অভিযোগ, তার আগেই গত শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ নারায়ণপুর অঞ্চলের কয়েকজন মাতব্বর ব্যক্তি তাঁকে বাড়ির সামনের কিছুটা জায়গা ছেড়ে দিতে বলে। বাবলুবাবু তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর এবং কেরোসিন তেল ঢেলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে বাবলু সরকারের অভিযোগ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা শাসক দলের নেতা বলে পরিচয় দেয়। তবে এ বিষয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্তকুমার মালী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আলোচনা করি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তারপর আমরা বিষয়টি প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দিই। তবে কে বা কারা আমাদের দলের নাম নিয়েছে জানি না।
তৃণমূল কংগ্রেস কখনও এরকম ঘটনাকে সমর্থন করে না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বাবলু সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। পরে বাবলু সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নারায়ণ দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বাবলু সরকারের পরিবার।